বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ দেশের গর্বিত সন্তান: বিএনপি

সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ দেশের গর্বিত সন্তান: বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধের নিরপেক্ষ ও ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রয়োজন। দলটি মনে করে, শুধুমাত্র অতীতের অন্যায়ের শাস্তিই নয়, ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে, সেজন্যও ন্যায়বিচার অপরিহার্য বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাই একটি জবাবদিহিমূলক, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের ভিত্তি হতে পারে। দেশের শাসনপ্রক্রিয়া চলা উচিত সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে ‘ল অফ দ্য ল্যান্ড’ অনুযায়ী।’

বিএনপি আরও বলেছে, কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো উচিত নয় এবং সেই অপরাধকে কেন্দ্র করে পুরো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনুচিত। ব্যক্তির অপরাধ ও শাস্তি একান্তই তার নিজস্ব বিষয়। প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের বদলে বিচারের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত ব্যক্তির আইনভঙ্গকারী কর্মকাণ্ড।

দলটির দাবি, ফ্যাসিবাদী সময়কালে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে বিএনপি। তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের সকল ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং বিচার দাবিতে দলটি আপসহীন।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, ‘একটি বাহিনীর প্রতি জনগণের সম্মান ও আস্থার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো সদস্যের অপরাধের সম্পর্ক নেই এবং থাকা উচিতও নয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই দেশের গর্বিত সন্তান। তারা নিজেরাও চান, সীমালঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো সরকার যেন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে গুম, খুন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্দেশ দিতে না পারে— এই জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিএনপি শতভাগ একমত।’

জনপ্রিয়