বুধবার ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

‎নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৮ অক্টোবর ২০২৫

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাতিলের দাবিতে জাতীয় জোটের মানববন্ধন

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাতিলের দাবিতে জাতীয় জোটের মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

‎দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাতিল ও পাহাড়ে চলমান অস্থিরতা বন্ধের লক্ষ্যে জাতীয় জোটের উদ্যোগে আজ (বুধবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

‎কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান ও গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) চেয়ারম্যান সরদার মো. আবদুস সাত্তার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় জোটের মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম আকাশ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় জোটের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বাদল।

‎মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় জোটের কো-চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওই চুক্তিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে ছোট ছোট গেরিলা সংগঠন গড়ে উঠেছে, যারা প্রায়ই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বক্তাদের অভিযোগ, এসব সংগঠন বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আলাদা রাষ্ট্র বা ভারতের অন্তর্ভুক্তির ষড়যন্ত্র করছে।

‎তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের আলাদা মত থাকতেই পারে, কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে আমরা এক কাতারে দাঁড়াতে রাজি। সরকার অবিলম্বে শান্তি চুক্তি বাতিল করে পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি করুক। শুধু জাতীয় জোট নয়, এই দাবির সঙ্গে ১৮ কোটি বাঙালি রয়েছে।

‎বক্তারা সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রায়ই বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করছে এবং পতাকা বৈঠকেও এর সমাধান হচ্ছে না। একইভাবে বাংলাদেশি জেলেদের ওপর ভারতের নৌবাহিনী ও জেলেদের হামলা, এমনকি আরাকান আর্মির আক্রমণের কথাও উল্লেখ করেন তারা।

‎তাদের দাবি, এগুলো আর কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। সরকারকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড় দেওয়া হবে না।

‎কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ একুশে পার্টির রবিউল আউয়াল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকেশন পার্টির মো. ইউসুফ পারভেজ, জাতীয় ওলামা কাউন্সিলের মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির মো. আমজাদ হোসেন সজল, বাংলাদেশ মানবিক পার্টির আ. রাজ্জাক, বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টির মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ জনতা লীগের সাংবাদিক মো. মানসুর রহমান পাশা, বাংলাদেশ মুক্তি পার্টির সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, ইসলামীক লিবারেল পার্টির মুফতি ফরিদ উদ্দিন কাসেমী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট পার্টির এডভোকেট আলমগীর, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির মো. শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ গ্রামীণ কল্যাণ পার্টির মো. মজিবুর রহমান, খেলাফতে দাওয়াত ইসলামী পার্টির মুফতি মিজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টির মোবারক হোসেন (বিজ্ঞানী), বাংলাদেশ সর্বজনীন দল প্রিন্সিপাল নূর মোহাম্মদ, সহ আরও অসংখ্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয়