বৃহস্পতিবার ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা

আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সি আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা দাবি করছে, পাঁচজন সাবেক কর্মীর ‘বেইমানি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে’ প্রতিষ্ঠানটি চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত পাঁচজন — ইমতিয়াজ, আবু বকর রাব্বি, তৌহিদুল ইসলাম মাসুম, তাজরীন আকতার এবং মোর্শেদ জুয়েল (ফাউন্ডার-ফাস্ট ট্রিপ) — ধাপে ধাপে পদত্যাগ করেছেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আকাশবাড়ি হলিডেজে চাকরিরত অবস্থায়ই তাঁরা গোপনে দুটি কোম্পানি (Tripology ও Fast Trip) প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

অভিযোগ অনুসারে, ওই পাঁচজন কোম্পানির গোপন নথি, গ্রাহকের তথ্যভাণ্ডার, পাসপোর্টের কপি ও অফিসের হার্ডডিস্ক অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাঁদের কাছে অন্তত ১০০টিরও বেশি প্রমাণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোম্পানির ভেতর থেকেই গ্রাহক ও কর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ জন কর্মী প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তৌহিদুল আলম মিল্কি জানান, “এই ঘটনায় আমরা প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছি। আকাশবাড়ি হলিডেজ নিয়মিত এনবিআর-এ আয় প্রদর্শন করে, প্রতিবছর অর্ধকোটি টাকা কর দেয় এবং দুই কোটি টাকার মতো বৈদেশিক রেমিট্যান্স আয় করে। কিন্তু এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে কোম্পানির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়েছে।”

তিনি আরও জানান, ইমতিয়াজ ও তাজরীন নামে দুই সাবেক কর্মী জাল ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছেন এবং একাধিকবার কোম্পানির নথি নষ্ট করার চেষ্টার প্রমাণও সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই নতুন কোম্পানি দুটি হাজার হাজার পাসপোর্ট অফিসে রেখে ডিল করছে, যা আইনি দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ।

আকাশবাড়ি হলিডেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় ১৯০ জন কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারসহ পাঁচ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার অভিযোগ করেন, “আমি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি, কিন্তু এখনও মামলা দায়ের করতে পারিনি। যদি তিন মাসের মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তবে আমাকে কোম্পানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হবে।”

তিনি প্রমাণসহ প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত থাকার ঘোষণা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী সংগঠন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়