বৃহস্পতিবার ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ৩ অক্টোবর ২০২৫

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাজার, নিত্যপণ্যের দামে আগুন

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাজার, নিত্যপণ্যের দামে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

টানা ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাছ ও সবজির বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়— করলা কেজি ১০০ টাকা, ছোট করলা ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০–৯০ টাকা ও বেগুন ১০০–১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০–১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা এবং টমেটো ১০০–১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি সর্বনিম্ন ২৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৩২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। রুই মাছের কেজি ৩৫০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪২০ থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা এবং তেলাপিয়া ২০০ থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা হয়েছে। দেশীয় মাছ যেমন টেংরা, শিং, কইয়ের কেজি দামে ৩০–৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার বাজারে আসলেই অকারণেই দাম বেড়ে যায়। যাত্রাবাড়ীতে বাজার করতে আসা রহিমা বেগম বলেন, “শুক্রবার পরিবারের সবাই বাসায় থাকে, তাই চাহিদা বাড়ে। আর বিক্রেতারা সেটা বুঝে দাম বাড়িয়ে দেন। এটা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।”

একই অভিমত শ্রমিক শাহেদ আলীরও। তিনি বলেন, “মাছ সাধারণ মানুষের প্রধান প্রোটিন। কিন্তু এখন মাছ কেনাও বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে। গরিবের মাছ তেলাপিয়া-পাঙ্গাসেরও দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে।”

তবে বিক্রেতারা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাদের দাবি, টানা বৃষ্টির কারণে গ্রাম থেকে ট্রাকে মাছ-সবজি আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। ফলে সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে।

শনির আখড়ার ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, “পাইকারি বাজারে যখন দাম বাড়ে, তখন খুচরা বিক্রেতাদের কিছু করার থাকে না। আমরাও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই।”

ফলে একদিকে সরবরাহ সংকট, অন্যদিকে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে বাজার চড়া থাকায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারাই।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়