সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির ক্রাসনাহোরকাই

চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরির লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। তার রচনাগুলো বহুমাত্রিক চিন্তাধারা, হতাশা ও বিষণ্নতার বিষয়বস্তুকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছে।
বৃহস্পতিবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের নাম ঘোষণা করে।
স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
নোবেল জুরি বোর্ড জানায়, ‘তার শক্তিশালী ও দূরদর্শী রচনা মহাপ্রলয়ের ভয়ের মাঝেও শিল্পের শক্তিকে প্রতিবিম্বিত করে’।
৭১ বছর বয়সী ক্রাসনাহোরকাই সম্পর্কে এক বিবৃতিতে জুরি বোর্ড বলেছে, তিনি মধ্য ইউরোপীয় ঐতিহ্যের একজন মহাকাব্যিক লেখক, যার ধারা কাফকা থেকে টমাস বার্নহার্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।
তবে তারা আরো বলেছেন, তার লেখায় ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। তিনি আরো মননশীল ও সূক্ষ্মভাবে প্রকাশভঙ্গির জন্য পাশ্চাত্য সাহিত্য ও দর্শনের বাইরে প্রাচ্যের দিকেও নজর দিয়েছেন।
গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। প্রথম এশীয় নারী লেখক হিসেবে তিনি সাহিত্যে নোবেল পান।
পশ্চিমা শ্বেতাঙ্গ পুরুষ লেখকদের অতিরিক্ত প্রাধান্য দেওয়ার কারণে সুইডিশ একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়েছে। ১৯০১ সাল থেকে সাহিত্যে এই পর্যন্ত ১২২ জনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারী লেখকের সংখ্যা মাত্র ১৮ জন।
২০১৮ সালের হ্যাশট্যাগ মি টু কেলেঙ্কারির পর একাডেমি ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি আরো বৈশ্বিক ও লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক সাহিত্যের পুরস্কার প্রদানের অঙ্গীকার করে।
আগামীকাল শুক্রবার বহুল আলোচিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। অর্থনীতির নোবেল দিয়ে ১৩ অক্টোবর শেষ হবে ২০২৫ সালের নোবেল মৌসুম।
প্রতিটি নোবেল পুরস্কারে একটি সনদপত্র, একটি স্বর্ণপদক এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের চেক প্রদান করা হয়। কোনো বিভাগে একাধিক বিজয়ী হলে পুরস্কারের অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে এই বছর নোবেল বিজয়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করবেন।