বুধবার ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৭ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালেও গাজায় নিহত ১০

যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালেও গাজায় নিহত ১০
ছবি: সংগৃহীত

মিসরের পর্যটন শহর শারম এল শেখে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনা চললেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘সীমিত’ হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গুলিতে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন খাদ্য ও ত্রাণ সংগ্রহের সময়।

গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন এক প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়, আর ৩ অক্টোবর এতে সম্মতি দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। এর পরদিন, ৪ অক্টোবর, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। নেতানিয়াহু পরে এক বিবৃতিতে জানান, আইডিএফকে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে গাজার সূত্রগুলো জানিয়েছে, ট্রাম্পের আহ্বানের পরও গত তিন দিনে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান রোববার এক ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, ট্রাম্পের আহ্বানের পর থেকে গাজায় ইসরায়েল শুধু ‘রক্ষণাত্মক অভিযান’ পরিচালনা করছে।

অন্যদিকে, মিসরের দৈনিক আল কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, সোমবার শারম এল শেখে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। এতে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও হামাসের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। বৈঠকের প্রথম দিনে মূলত গাজার অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

আজ ৭ অক্টোবর। ঠিক দুই বছর আগে এই দিনে ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস, যাতে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলছে।

দুই বছরের এই অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৭,১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৬৯,৬৭৯ জন আহত হয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

জনপ্রিয়