শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১২ জুন ২০২৫

অনেক সময় ভোট সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায় ‘কে কত টাকা দিলো’: ড. ইউনূস

অনেক সময় ভোট সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায় ‘কে কত টাকা দিলো’: ড. ইউনূস
সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের শাসনহীনতা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এবার সত্যিকারের ভোট হবে—নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভোট।”

 

প্রধান উপদেষ্টা জানান, এই নির্বাচন শুধু একটি সরকার গঠনের বিষয় নয়, বরং এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির, একটি সংস্কারকেন্দ্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। তার ভাষায়, “এই নতুন বাংলাদেশের তিনটি স্তম্ভ—সংস্কার, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ।”

 

তিনি বলেন, “১৭ বছর ধরে যারা রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা, এবার তারা নিজেদের কণ্ঠস্বর প্রকাশের সুযোগ পাবে। তাদের স্বপ্ন ছিল ভোট দেওয়ার মাধ্যমে নিজস্ব মত প্রকাশ করার, এবার সেই সুযোগ এসেছে।”

 

নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক সংস্কার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গঠিত হয়েছে একাধিক কমিশন, যারা সংসদ, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, সিভিল সার্ভিসসহ নানা খাত নিয়ে মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ দিয়েছে। সেই সুপারিশগুলো এখন বিশ্লেষণাধীন রয়েছে।

 

তবে সরকারপ্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন—এগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐকমত্য। এজন্য গঠিত হয়েছে 'সমঝোতা কমিশন'—যারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের প্রস্তাবগুলোতে সম্মতি আনার কাজ করছে।

 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐকমত্য সহজ নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি হতে পারে।”

ভোট কেনার সংস্কৃতি প্রসঙ্গে সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “অনেক সময় ভোট সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায় ‘কে কত টাকা দিলো’। আমরা বলেছি, এ পথে আমরা আর যাব না। আমরা চাই স্বচ্ছ ও নীতিনিষ্ঠ ভোট।”

 

তিনি আরও বলেন, “ভোটের আগে যতটা সম্ভব খোলামেলা বিতর্ক চাই। যাতে জনগণ জানে, কী পরিবর্তন আসছে, কেন তা দরকার।”

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ