বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ১১ আগস্ট ২০২৫

ভারতের বাঁধ নির্মাণ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, ১০টি মিসাইল ছুঁড়বো

ভারতের বাঁধ নির্মাণ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, ১০টি মিসাইল ছুঁড়বো
সংগৃহীত

গত দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আসিম মুনির। দেশটিতে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অস্তিত্বের হুমকির মুখোমুখি হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সিন্ধু নদীতে ভারতকে কোনোভাবেই বাঁধ নির্মাণ করতে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সোমবার (১১ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার টাম্পায় পাকিস্তান-আমেরিকান কমিউনিটির এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সেখানে তিনি সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কথা বলেন। নদীতে ভারতের যেকোনো অবকাঠামো তৈরি পাকিস্তানে পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে জানিয়ে সেই অবকাঠামো ধ্বংসেরও হুমকি দেন তিনি।
 মুনিরের দাবি, গত এপ্রিলে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর নয়াদিল্লির সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখায় পাকিস্তানের ২৫ কোটি মানুষকে অনাহারের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে আসিম মুনির বলেছেন, ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের হুমকির মুখোমুখি হয়, তাহলে পুরো বিশ্বের অর্ধেক ধসিয়ে দেবেন।
 চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সহায়তা করেছে। এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৬০ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত রাখার কথা জানায় নয়াদিল্লি।


উত্তেজনার এক পর্যায়ে গত ৬ মে দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আকস্মিক বিমান হামলা চালায় ভারত। যার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের দাবি, জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
 
ভারতের হামলার পর ‘অপারেশস বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে পাল্টা হামলা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।