আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫’।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ইউনেস্কো— “প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার”।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।
দিবসটির ইতিহাস
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা।
সাক্ষরতার সংজ্ঞা
প্রথমদিকে শুধু নাম লিখতে পারলেই একজনকে সাক্ষর ধরা হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো সাক্ষরতার তিনটি শর্ত নির্ধারণ করে—
১. ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে।
২. ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে।
৩. ব্যক্তি দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।
বাংলাদেশে সাক্ষরতা ও উন্নয়ন
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে।
কারণ সাক্ষরতা ও উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। নিরক্ষরতা উন্নয়নের অন্তরায়। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন, তা অর্জন সম্ভব কেবল সাক্ষরতার মাধ্যমেই।