সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ৪ এপ্রিল ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে ঝুঁকি রয়েছে : পলক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে ঝুঁকি রয়েছে : পলক
জুনায়েদ আহমেদ পলক

আমরা যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সচেতনতা আমাদের ভিতরে তৈরি করতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক ঝুঁকি রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ঝুঁকি সেটি আমাদের মোকাবিলা করা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়নের জন্য প্রারম্ভিক অংশীজন সংলাপে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যই আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনের খসড়া আইন তৈরির কাজ করেছি। সেজন্যই আজ অংশীজনদের সঙ্গে সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে সেটির সাম্প্রতিক সময়ের একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আপনারা দেখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের একটি জীর্ণ ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে ছবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ডিপফেক ভিডিও বা কণ্ঠস্বরের ক্লোনিং করে অসংখ্য অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। যা শুধু জাতীয় নিরাপত্তায় নয় বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পজিটিভ বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আইন তৈরির কাজ চলছে। কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং নির্ভুল কাজের জন্য আমরা এআই ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু এর অনেক অনেক অনৈতিক ব্যবহারও আছে। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উদ্ভাবন ও উন্নয়ন আরো বাড়াতে চাই। সেলক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

আ/ম

জনপ্রিয়