শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগ

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহত সেল। ইতোমধ্যেই আহতদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যাতে তারা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে এবং নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০০ জন আহতকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ৩৮ জন জুলাই আহতকে কেয়ার গিভিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, যাদের পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের জন্য জাপানে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ ও আহত সেলের সম্পাদক তামিম খান এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সেল সম্পাদক ফারিয়া রহমান, শহীদ ও আহত সেল সহ-সম্পাদক মুরছালিন হাওলাদার, ময়মনসিংহ বিভাগ শহীদ ও আহত সেলের প্রধান সমন্বয়কারী সিনথিয়া জাহিন আয়শা, বরিশাল বিভাগ শহীদ ও আহত সেলের সহ-সমন্বয়কারী আবু হানিফসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তামিম খান বলেন, “গত বছর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছি। তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি আমরা শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।”
তিনি আরও জানান, শহীদ ও আহত সেল, তিন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রায় ৫০-৬০ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। যে যেই ক্ষেত্রে দক্ষ, তাদের সেই ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতেও শহীদ ও আহতদের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যে সমস্ত আহত এখনো মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের উন্নত সেবা ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মাইন্ডহীল’ শহীদ ও আহত সেলের সঙ্গে কাজ করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তামিম খান বলেন, “তালিকা প্রণয়ন, সঠিক চিকিৎসা, ভাতা যথাসময়ে না পাওয়া—এমন নানা জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। এসব সমস্যা সমাধানে শহীদ ও আহত সেল নিরলসভাবে কাজ করছে।”
এ ছাড়া সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত ৫২ জন ভুয়া শহীদের তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।