রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাস্টবিনে হাসিনার ছবি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ময়লার ডাস্টবিনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ১০টি ডাস্টবিন দেখা যায়।
জানা যায়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সিয়ামের উদ্যোগে ডাস্টবিন বসানোর সময় গণিত বিভাগের ইমরান, রাব্বি, পদার্থ বিভাগের আবির, বেনজির, জিওগ্রাফির রাজ, সামাজিক বিজ্ঞানের হাসিব, জার্নালিজমের আলামিন এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিন দেখে অনেকে কৌতুহলবসত এগিয়ে গিয়ে যায় কেউ কেউ ময়লাও ফেলছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, নানান অপকর্মের ও স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের ফলে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা দেশের মানুষের কাছে ঘৃণিত। তাদের আবর্জনার মতো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে দেশের মানুষ। সমাজে তাদের অবস্থান এখন নর্দমা নয়তো ডাস্টবিনে। এ ডাস্টবিনগুলোই তাদের সঠিক স্থান।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মন্ডল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। বিপ্লবী ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টের স্থান যে ময়লার স্তুপে আজ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেটা প্রমাণ করে দিল। খুনি হাসিনার প্রতিকৃতি সংবলিত ডাস্টবিন স্থাপন করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফ্যাসিস্টের প্রতি তাদের যে ঘৃণা সেটির প্রতিফলন হয়ে থাকবে এই খুনি হাসিনার প্রতিকৃতি সংবলিত ডাস্টবিন।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আলভীর বলেন, ইতিহাসের পাতায় যুগে যুগে স্থান করে নেয় বিখ্যাত এবং কুখ্যাত লোকেরা। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অন্যতম একজন ঘৃণিতদের মধ্যে অন্যতম। আবু সাইদের বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গের শুরু সেখান থেকে নরপিশাচ হাসিনাকে ডাস্টবিনে ফেলা।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ হাসিনা লাইভে এসে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল নাম মুছে দিয়ে বিজয় ২৪ হল নামকরণ করেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম মুছে ফেলেন তারা। এরপর শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র দাহ করেন তারা। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।