মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১৪ জুলাই ২০২৫

বান্দরবানে গভীর রাতে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুর

বান্দরবানে গভীর রাতে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুর
সংগৃহীত

বান্দরবানে জেলা সদরের পৌর এলাকার আর্মি পাড়ার ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের জেলা কার্যালয়ের অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

 

রবিবার (১৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক আকস্মিক শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসের ভেঙে অফিসে প্রবেশ করে বলে জানান স্থানীয়রা।

 

স্থানীয়দের সূত্রে আরও জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে কয়েকজন যুবক আকস্মিক শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসের দরজা ইট দিয়ে ভেঙে অফিসে প্রবেশ করে। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পান।

 

অফিসের সামনের একজন দোকানি মো. রিয়াদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৩টার দিকে আমার দোকান বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ভাঙচুরের শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠি। তবে কারা এটা করেছে দেখিনি।

 

এসময় দুর্বৃত্তরা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসের দেয়ালে টানানো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা অফিসের মূল্যবান আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার, টেলিভিশনসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।

 

সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক-মুজিবর রশীদ, সদস্য চনু মংসহ জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন তুষার বলেন, কিছুদিন আগেও জেলা সদরের বালাঘাটা এলাকায় বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কালাঘাটায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত পুলিশ দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। আমারা আতঙ্কিত, আমাদের ওপরও হামলা হতে পারে।

দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(জেলা বিশেষ শাখা) মো. ফরহাদ সরদার। তিনি বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রতির জেলা। বিগত সময়ে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার মামলা তদন্তনাধীন আছে। আজকে যে ভাঙচুরের ঘটনা হয়েছে এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে আমরা আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজগুলো পরীক্ষা করব। যে বা যারা, যে দলেরই হোক না কেন তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

 

এদিকে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিগত আওয়ামী সরকারের সময় এটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হলেও পরবর্তীতে বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তার দখল নেয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকর্মীরা। অনেকেই বলছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে প্রতিহিংসামূলকভাবে এই হামলা চালিয়েছে।