ঝালকাঠির সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী গুলশান থেকে গ্রেফতার

রাজধানীর নিকেতন সোসাইটি (গুলশান-১) এলাকা থেকে ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (৩ আগস্ট) ডিএমপি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, লিয়াকত আলীকে বিএনপির পল্টন অফিসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঝালকাঠি সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলারও আসামি তিনি।
ওই রাতেই ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন ফরাজীকেও রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৯টা পর্যন্ত আমরা লিয়াকত আলী গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে কোনো কাগজপত্র পাইনি। তবে বিস্ফোরক আইনের মামলায় তিনি আমাদের থানায় আসামি।
ডিএমপি বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ২১ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।
তবে ঝালকাঠিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত আরও অনেকেই এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছেন। সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপু লস্কর, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম জাকির, সাবেক কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফসহ অনেকেই এখনো পলাতক।
অভিযোগ রয়েছে, এদের অনেকেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করছেন। স্থানীয় এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ একাধিক দপ্তরের কোটি টাকার প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টেন্ডার সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন তারা। এমনকি বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এসব পলাতক আসামিদের পক্ষে বিল পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জুলাই আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, যারা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। প্রশাসন এখনও নিষ্ক্রিয় কেন, তা বোধগম্য নয়। সব অপরাধীর বিচার চাই।