বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

তিন মাসে সরকারি গুদামে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে চালের মজুত

তিন মাসে সরকারি গুদামে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে চালের মজুত
সংগৃহীত

দেশে গত তিন মাসে সরকারি গুদামে চালের মজুত প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মজুত ছিল সাত লাখ ৪৭ হাজার টন। যা নিরাপদ মজুতের থেকে আড়াই লাখ টন কম। খাদ্য অধিদপ্তরের দাবি, বন্যার্তদের ত্রাণ ও খোলা বাজারে চাল বিতরণ বাড়ানোর কারণে এই সংকট দেখা যায়।

এদিকে মজুত বাড়াতে দ্রুত সরকারিভাবে চাল আমদানির পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর খাদ্য কর্মকর্তারা জানান, চালের নিরাপদ মজুত ফেরাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংকটকালের জন্য সরকারি গুদামে প্রায় ১০ লাখ টন চাল মজুত রাখে সরকার। তবে বর্তমানে তা সাড়ে সাত লাখ টনে নেমেছে। গত আগস্টের শেষ দিকেও চালের মজুত সাড়ে ১৪ লাখ টন ছিল।

সাম্প্রতিক বন্যা ও মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে চাল বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোয় এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানায় খাদ্য অধিদপ্তর। তাদের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ১৭ হাজার ৩৯৬ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া টিসিবিকে ওএমএস কার্যক্রমের জন্য প্রতিমাসে ৫০ হাজার টন করে চাল দিতে হয়। আর খাদ্য অধিদপ্তর নিজ উদ্যোগে ৩১টি কেন্দ্রে প্রতিমাসে বিতরণ করে গড়ে আড়াই লাখ টন চাল ।

এ ব্যাপারে এক আমদানিকারক বলেন, এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত মৌসুমী আবাদ উঠে গেছে। আর দ্বিতীয়ত ভারত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ জন্য চাল কম ঢুকতেছে।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুত ঠিক রাখার পরামর্শ গবেষকরা বলেছেন। তারই পাশাপাশি আমদানি বাড়ানোরও মত তাদের। 

এ ব্যাপারে সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজারে যেহেতু দাম বেশি রয়েছে, আবার কৃষকদের মধ্যে খাদ্য গুদামঘরে চাল দেবার প্রবাণতা কম দেখা যাচ্ছে। এ কারণে প্রত্যাশিত মাত্রার সংগ্রহ না-ও হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে বড় মাত্রায় চাল আমদানির কোনো বিকল্প নেই।

তবে চালের মজুতের টানাপোড়েন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেক। 

তিনি জানান, আসছে জানুয়ারি মাসের মধ্যে দুই লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। তিনি আরও বলেন, সিদ্ধ ও আতপ চালে গত বছরের থেকে কেজিতে তিন টাকা করে বাড়িয়েছি আমরা। শিগগিরই মিল মালিকগণ চুক্তিবদ্ধ হবেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে আমাদের সংগ্রহ চলছে। আর জিটুজির মাধ্যমে মন্ত্রণালয় চাল সংগ্রহের পদক্ষেপ নিয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি অর্থবছরে আমদানির মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে প্রায় ৬ লাখ টন চাল মুজত করবে সরকার।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়