নারী সংশ্লিষ্ট গুঞ্জনে ঢাকা ছাড়লেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার

ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১১ মে) তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
তবে তার এই সফরকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক মহলসহ নানা মহলে চলছে ব্যাপক গুঞ্জনকক্সবাজার সফরকালে তার সঙ্গে এক নারীর সম্পর্ক ঘিরেই মূলত এই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
কক্সবাজার সফর নিয়ে বিতর্ক
সূত্র জানায়, গেল ৯ মে সৈয়দ আহমেদ মারুফ বন্ধুবান্ধবসহ কক্সবাজারের উখিয়ায় হোটেল সি-পার্লে অবস্থান করেন। সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজহার মাহমুদ এবং ঢাকার ঝিগাতলায় বসবাসকারী হাফিজা হক শাহ নামের এক নারী। হাফিজা বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৩ ব্যাচের সহকারী পরিচালক এবং বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগে কর্মরত।
বলা হচ্ছে, সফরকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসেন তারা। পাকিস্তান হাইকমিশনারের এমন সফর এবং সফরসঙ্গী নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বিষয়টি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জানানো হলে হাইকমিশনারকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্যক্তিগত গাড়িতে দ্রুত ঢাকায় ফেরেন সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
হাফিজা হক শাহ’র বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজা হক শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার তার পূর্বপরিচিত এবং কক্সবাজারে হোটেল লবিতে সাক্ষাৎ হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, "আমার কাজিনদের নিয়ে ব্যক্তিগত ভ্রমণে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। হাইকমিশনার তার পরিবারের সঙ্গে গিয়েছিলেন। কক্সবাজারে হোটেল লবিতে দেখা হয়। কফি খাওয়া ছাড়া আর কিছু হয়নি। ঘোরাঘুরির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।"
হঠাৎ ঢাকা ত্যাগ
সূত্র জানায়, কক্সবাজার সফর নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি তলবের মুখে পড়েন সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এরপরই তিনি দ্রুত ঢাকায় ফেরেন এবং পরদিন রোববার পাকিস্তানে চলে যান। যদিও ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন বলছে, হাইকমিশনার সরকারি কাজেই পাকিস্তান গিয়েছেন।