শুক্রবার ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বাড়ছে ৯৯৯-এর সক্ষমতা, যুক্ত হবে ১০০ ওয়ার্কস্টেশন

বাড়ছে ৯৯৯-এর সক্ষমতা, যুক্ত হবে ১০০ ওয়ার্কস্টেশন
ছবি: সংগৃহীত

৯৯৯-এর সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে পূর্বাচলে আরো ১০০টি ওয়ার্কস্টেশন স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এর পাশাপাশি ডেমরার আমুলিয়ায় প্রায় ৫৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ ওয়ার্কস্টেশন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে। সেখানে ৫০০টি ওয়ার্কস্টেশন করা হবে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
 
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর তথ্য মতে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজারের মতো কল আসে, যেখানে মাত্র ৮০ জন কল টেকার ও ২০ জন ডিসপ্যাচার দিয়ে এই বিপুলসংখ্যক জরুরি সেবা পরিচালনা করা হয়। এই সীমিত জনবল দিয়ে সবাইকে দ্রুত সেবা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ৯৯৯-এ যেসব কল আসে, বেশির ভাগই অপ্রাসঙ্গিক। এক্ষেত্রে কলদাতাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়।

মহিউল ইসলাম বলেন, ২৪ হাজার কলের মধ্যে বেশিরভাগই অপ্রাসঙ্গিক। এই অপ্রাসঙ্গিক কলের ফলে প্রকৃত জরুরি সেবা প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ আমাদের জনবল ও ওয়ার্কস্টেশন সীমিত।

তিনি আরো বলেন, অপ্রাসঙ্গিক কল এড়াতে জনসচেতনতা জরুরি।

এজন্য বিভিন্ন মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ ও শিক্ষিত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে কল হ্যান্ডলিং আরো পেশাদার ও সংবেদনশীলভাবে পরিচালনার চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও সমাজে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৩টি জরুরি কল পেয়েছে। এসব কলে সবচেয়ে বেশি পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়।

জাতীয় জরুরি সেবা চালুর পর থেকে সেবা কলের প্রায় ৮৪ শতাংশই পুলিশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স সেবাও দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় জরুরি সেবার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার বলেন, আমাদের জনবল কম। ফলে অপ্রয়োজনীয় কলগুলোর কারণে প্রকৃত বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি অনেক সময় সহায়তা পেতে বিলম্বিত হন।

জনপ্রিয়