চাঁদাবাজির মামলায় ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার আট বছরের কারাদণ্ড
চাঁদাবাজির মামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রাঙামাটির বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় ইউপিডিএফের আরেক নেতা সুমন চাকমাকেও সমান মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মাইকেল চাকমা ও সুমন চাকমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে লংগদু থানা পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার তৃতীয় আসামি প্রদীপ চাকমাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ জানায়, ওই সময় লংগদুর ভাইবোনছড়া এলাকায় খুন, চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় মাইকেল চাকমাকে একটি দেশীয় অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় লংগদু থানার এএসআই মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমাকে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সাদা পোশাকধারী কয়েকজন তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, এই সময় তিনি তথাকথিত ‘আয়নাঘরে’ আটক ছিলেন। ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট তিনি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।



























