সাবের হোসেন চৌধুরী
বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে সরকার
সরকার বন্যপ্রাণির টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণির বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণির সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। বলেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাবে ট্রফি বা বন্যপ্রাণির নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক। বাংলাদেশে ১ম বারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন স্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণি অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সারা দেশে বন্যপ্রাণি অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণিগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুুসহ অন্যান্যরা।
আ/ম