শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ৩১ জুলাই ২০২৫

আউটসোর্সিং খাতের নীতিমালা সংশোধনের দাবি

আউটসোর্সিং খাতের নীতিমালা সংশোধনের দাবি
সংগৃহীত

বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক এবং প্রকল্পে কর্মরত শ্রমজীবীদের ন্যায্যঅধিকার নিশ্চিতে নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবু প্রমুখ।

 

বক্তারা বলেন, আউটসোর্সিং খাতে দেশের ৬ থেকে ৭ লাখ লোক কাজ করে থাকে। কিন্তু এই জনগোষ্ঠী আজ অবহেলিত। আমরা একই রকম কাজ করলেও স্থায়ী কাজের জন্য যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়, আউটসোর্সিং কর্মচারীকে তা দেওয়া হয় না। স্থায়ী কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট থাকলেও আমাদের একই বেতনে বছরের পর বছর চাকরি করতে হয়। এছাড়া চাকরির নিশ্চয়তা নেই, কোনো ভবিষ্যৎ তহবিল নেই, শ্রমিকদের সেফটি টুলসের ব্যবস্থা নেই। এই অবহেলিত জণগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দ্রুততম সময়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সংগঠনের দাবিগুলো হলো-

 

১. আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক ও প্রকল্পভিত্তিক কর্মীদের ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে এবং সরাসরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।

২. একই কাজে দুই রকম সুবিধা থাকা যাবে না (সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে)। ইচ্ছেমতো দক্ষ জনবলকে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। নতুন টেন্ডার বা চুক্তির অজুহাতে অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাঁটাই করা যাবে না, এ ব্যাপারে নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৩. সব বকেয়া বেতন ও ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে এবং অবশ্যই প্রতি মাসের পাওনা পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

৪. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্মঘণ্টার পর (ছুটির দিনসহ) কাজ করালে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য নীতিমালায় স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।

৫. শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্যঅধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমসংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।