‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অংশ নিতে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করলো সরকার

আগামী ৫ আগস্ট জাতীয় সংসদের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আট জোড়া (১৬টি) বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে সরকার। এসব ট্রেনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরের মধ্যে অংশগ্রহণকারীরা রাজধানীতে পৌঁছাবেন এবং অনুষ্ঠান শেষে একই ট্রেনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন। পুরো ব্যবস্থার জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, যা বহন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের আবেদনের পর আজ রোববার রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রেলওয়ে ট্রেনগুলোর রুট, সময় ও আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, দূরবর্তী জেলা যেমন– রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ট্রেনগুলো ছাড়বে ৪ আগস্ট রাতে ও ৫ আগস্ট ভোরে। আর ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেন ছাড়বে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে। অনুষ্ঠান শেষেই রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ট্রেনগুলো গন্তব্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে রংপুর থেকে আসা ১৪ কোচের ট্রেনের জন্য সাড়ে ১০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে ১৬ কোচের ট্রেনের জন্য ভাড়া ধরা হয়েছে ৭ লাখের কিছু বেশি। এ ছাড়া রাজশাহী, সিলেট, ফরিদপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকেও ভিন্ন ভিন্ন আসন সংখ্যা ও ভাড়ায় ট্রেন চলবে।
এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বড় কর্মসূচিতে অংশ নিতে একইভাবে ট্রেন ভাড়া করেছে। আজ ছাত্রদলের শাহবাগের ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে চট্টগ্রাম থেকে ২০ কোচের একটি বিশেষ ট্রেন ভাড়ায় আনা হয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ উপলক্ষ্যে চারটি রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল, যার ভাড়া ছিল প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, কোনো সংস্থা বা দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে ট্রেন ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে। এসব ট্রেনে সাধারণ ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি নেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন ভাড়া দিয়েছি। সরকার অর্থ পরিশোধ করছে, এটাই মূল বিষয়।