তিন ওয়ার্ড ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে রাখার দাবি

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচর থানার অন্তর্গত ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড তিনটি ঢাকা-২ আসনের সঙ্গেই রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে এ দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের শুনানি শেষে এমন দাবি কথা জানান তারা। শুনানি শেষে ঢাকা-২ আসনের পক্ষে সাংবাদিকদের জানান অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ৫৫, ৫৬ এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা দুই আসন থেকে পৃথক করেছে কমিশন। সেখানে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা ১০ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ৫৬ এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে তারা ঢাকা ৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ইসি এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৫৯টি আবেদন পড়েছে। ৫৯টি আবেদনের মধ্যে ৫৭টি আবেদন হচ্ছে বিপক্ষে আর দুটি আবেদন পক্ষে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কামরাঙ্গিরচরের অধীনে যেটা আছে, এই তিনটি ওয়ার্ড, ঢাকা দুই আসনের মধ্যেই থাকবে। কেন থাকবে, কারণ ঢাকা দুই আসনে একটি মাত্র থানা কামরাঙ্গিচর। আর বাকি হল কেরানীগঞ্জ এবং সাভার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন। কামরাঙ্গিচর থানা নিয়েই ঢাকা দুই আসন। সুতরাং কামরাঙ্গিচর থানাকে যদি অর্থাৎ এই তিনটি ওয়ার্ডকে যদি ঢাকা দুই আসন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ঢাকা দুই আসনে কোনো থানা থাকে না। একটি থানাও অবস্থিত হয় না।
তিনি বলেন, কামরাঙ্গিচরের জনগণ কেরানীগঞ্জ চাষাবাদ করে। তারপরে ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস আদালত সবকিছু কেরানীগঞ্জের সঙ্গে কানেক্টেড। সুতরাং আমরা বলেছি যে, পূর্বের ঢাকা দুই আসনে কেরানীগঞ্জের ছয়টি সাতটি ইউনিয়ন, সাভারের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং কামরাঙ্গচর থানার ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড; এটার সমন্বয়ে ঢাকা দুই আসন। এটাই কামরাঙ্গিরচরের জনগণ এবং ঢাকা দুই আসনের সর্বস্তরের জনগণ চাওয়া।