বিচারক শ্বশুরকে নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস

রাষ্ট্রপতি নতুন যে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা, অনেকেই বিষয়টিকে স্বজনপ্রীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। তবে সারজিস আলম জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুর সম্পূর্ণ যোগ্যতা ও দীর্ঘ পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে, সেখানে কমেন্টে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সারজিস আলম।
তিনি লেখেন— ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তাঁর শ্বশুর। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফলসহ ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অধিকার করে আইন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগ—উভয় জায়গায়ই নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। সারজিসের দাবি, পারিবারিক সম্পর্কের আগেই তাঁর শ্বশুর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
এছাড়া তাঁর শতাধিক জুনিয়র এখন সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে প্রতিষ্ঠিত। সর্বশেষ সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের বাছাই প্রক্রিয়ায় সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেই তিনি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সারজিস আক্ষেপ করে বলেন—শ্বশুরের এত বছরের পরিশ্রম ও যোগ্যতাকে একপাশে সরিয়ে কেবল তাঁর নাম টেনে আনা সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।