শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৬ মার্চ ২০২৪

২৫ মার্চ গণহত্যার

‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৃপ্তি পেতাম’

‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৃপ্তি পেতাম’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির ইতিহাসে ‘কালরাত্রি’ হিসেবে চিহ্নিত। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করলে আমরা আত্মতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপর থেকেই বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির দাবি জোরালো হয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে শুধু আমাদের দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে সব বাঙালিদের মধ্যে একযোগে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাঙালিদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির ইতিহাসে ‘কালরাত্রি’ হিসেবে চিহ্নিত। ওই রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে শুরু করেছিল বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ দিনগত রাতে তারা গ্রেপ্তার করে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পরবর্তী নয় মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশব্যাপী গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণের মতো অবর্ণনীয় নারকীয় নৃশংসতা চালায়। এত অল্প সময়ের অপারেশনে শহীদ হয়েছিল ৩০ লাখ অসহায় মানুষ, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী। ধর্ষিত হয়েছিলেন কয়েক লাখ নারী। দেশত্যাগী হয়েছিল প্রায় এক কোটি নিরীহ মানুষ। মাত্র নয় মাসে ৩০ লাখ আদম সন্তানের অসহায় মৃত্যু: এতবড় গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।  

তিনি আরও বলেন, আজকে ২৫ মার্চ, বিএনপি সমাবেশ করে। কিন্তু সেই সমাবেশে বসে তারা ২৫ মার্চকে স্মরণ করে না। কীভাবে স্মরণ করবে? ২৫ শে মার্চ যারা স্মরণ করবে? সেই রিজভী সাহেবের বাবা ছিলেন রাজাকার। রিজভী সাহেবের বাবা ছিলেন পাকিস্তান পুলিশে কর্মরত। পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আরেকজন হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; যার বাবা চোখা মিয়া যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় চোখা রাজাকার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। সেই চোখা রাজাকারের ছেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা তো অবশ্যই পাকিস্তানিদের আইএসআইকে সন্তুষ্ট করার জন্য ভারতবিরোধিতার জিকির তুলবেন; এটি তো তাদের পুরোনো অভ্যাস, পুরোনো খাসিলত।

আলোচনা সভায় সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একুশে ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্রাহাম লিংকন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আ/ম