রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২২ জুন ২০২৫

জামায়াত আমির-জাপানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ

জামায়াত আমির-জাপানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ
সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি।

 

রবিবার (২২ জুন) মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

 

জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

 

বৈঠক শেষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বৈঠকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দল সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বাক-স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অধিকার সম্পর্কে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের স্বৈরশাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, মূলত পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের নামে প্রহসনের দৃশ্য তুলে ধরেন।

 

জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচনকে 'মধ্য রাতের নির্বাচন' বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

এ সময় জামায়াত আমির বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে হত্যা করার বর্ণনা দেন এবং পতিত ফ্যাসিবাদ আমলের জেল, জুলুম-নির্যাতন, অপহরণ ও গুম-খুনের একটি চিত্র তুলে ধরেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বিদ্যমান সম্পর্কের ব্যাপারে তার অবস্থান তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে জাপান ও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্পর্কিত বিষয়: