শিশু একাডেমি ভেঙে ফেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া বিএনপির

রাজধানীর হাইকোর্টের পাশে অবস্থিত শিশু একাডেমির ভবন ভেঙে ফেলার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমের সূত্রে জানতে পেরেছি শিশু একাডেমি ভেঙে ফেলার জন্য কথা-বার্তা চলছে। এই ধরনের প্রক্রিয়া বা প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে। আমরা এটার বিরোধিতা করি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধিতা করি এই কারণে যে, এটা বাংলাদেশ সরকারের একটা প্রতিষ্ঠান যেটার মাধ্যমে শিশুদের বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম তাদের (শিশুদের) গঠন, তাদের বেড়ে ওঠা, তাদের মনমানসিকতা তৈরি করা, তাদের এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিজ তৈরি করা হয়। এ ব্যাপারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনিই প্রথম শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা সারা দেশে শাখা রয়েছে। সুতরাং এই প্রতিষ্ঠাকে এখান থেকে সরানোটা আমি মনে করি একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এই ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য যে, আমরা চাই না শিশু একাডেমি ভবনটি সেই জায়গা থেকে স্থানান্তরিত করা হোক অন্য জায়গা দেওয়া হোক। এটা আমার মনে হয় জাতি গঠনের ব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’
রাজনৈতিক সংকট তৈরিতে নিঃসন্দেহে এবিএম খায়রুল হক দায়ী ছিলেন, তার কী ধরনের শাস্তি চান, জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরজন্য তিনি শতকরা একশত ভাগ দায়ী। তবে এটা তো (শাস্তির বিষয়টা) আমার বলা ঠিক হবে না আইনগতভাবে যে বিধানগুলো আছে তা দেখে তাকে প্রসিকিউট করে সেই বিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ ওই জায়গাটাতে বসে সেই জায়গা ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে না পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওনার (এবিএম খায়রুল হক) রায়ের পরপরই তত্ত্বাবধায়ক বিধানটা বাতিল হলো এবং যেটা বাংলাদেশে পরবর্তীকালে যতরকমের রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আর আমরা মনে করি, বিচার বিভাগ সবচেয়ে বড় জায়গা যেখানে মানুষের আস্থা থাকে সেই আস্থার জায়গাটা উনি ধ্বংস করেছেন। শুধু তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার কারণে যেটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে বলে আমরা মনে করি।
‘উত্তরায় তিন শিশুর কবর জিয়ারত’
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। বেলা ১১টায় তিনি উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেকের কাছে একটি পারিবারিক কবরস্থানে যান। সেখানে এক পরিবারের তিন শিক্ষার্থী শায়িত আছে। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান, হুমায়ূরা ও বাপ্পির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সেখানে আরও দুই শহীদ জুনায়েদ ও শারিয়ার করবও জিয়ারত করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা জানান।
এ সময়ে মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর সদস্য সচিব কফিল উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।