আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে : রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, এই যে আওয়ামী লীগের যে অবস্থা, সে অবস্থাতে তারা হঠাৎ করে বাঘের মতো গর্জন করছেন, সিংহর মতো হালুম করে ঝাপিয়ে পড়ছেন এবং এরকম একটা ভাব দেখাচ্ছেন, আর এটার ফলে তাদের যারা প্রতিপক্ষ, তাদের মধ্যে ভীষণ রকম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং তারা অনেকে মুখে বলেই ফেলছেন যে আওয়ামী লীগকে আসতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ আসলে আমাদের পিঠে চামড়া থাকবে না।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ‘তিনতন্ত্র’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক কথায় যে বার্তাগুলো বলছেন, মনে হচ্ছে, উনার রাজনীতির তাল লয় ছন্দ একটাও এলোমেলো হচ্ছে না, কোথায় রাগ হতে হবে, কোথায় ভয় দেখাতে হবে, কোথায় থামতে হবে, কোথায় পয়েন্ট করতে হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে এখন উনি যেভাবে চিন্তাভাবনা করে কথাবার্তা বলছেন, গবেষণা করে কথাবার্তা বলছেন, এর অর্ধেক পরিশ্রম যদি তিনি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করতেন, তাহলে ভিন্ন ইতিহাস তৈরি হতো।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ইতিহাস তৈরি হতো। এখন তার রাগ নিয়ন্ত্রিত, তার কণ্ঠ নিয়ন্ত্রিত এবং তিনি যা কিছু করছেন ধীরে, সুস্থে পরিকল্পনা করে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে অবস্থা, সে অবস্থাতে তারা হঠাৎ করে বাঘের মতো গর্জন করছেন, সিংহর মতো হালুম করে ঝাপিয়ে পড়ছেন এবং এরকম একটা ভাব দেখাচ্ছেন আর এটার ফলে কী হলো আওয়ামী লীগের যারা প্রতিপক্ষ তাদের মধ্যে ভীষণ রকম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং তারা অনেকে মুখে বলেই ফেলছেন যে আওয়ামী লীগকে আসতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ আসলে আমাদের পিঠে চামড়া থাকবে না।
শেখ হাসিনা যদি আসে, তাহলে তার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাবেন না ইত্যাদি নানা রকম যে ন্যারেটিভ গুলো তৈরি হচ্ছে, সেই ন্যারেটিভের পাশাপাশি আরেকটি খবর আপনাদেরকে বলি- দেখলাম যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার জন্য এবং তারেক রহমান সাহেবের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ি কেনার জন্য অনুমতি দিয়েছে এবং তাদের প্রাইভেট সিকিউরিটি বাহিনী মেনটেন করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার জন্য অনুমতি খুব দ্রুত তাদেরকে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এখন আপনার কি মনে হয় যে জামায়াতকে ভয় পেয়ে, এনসিপিকে ভয় পেয়ে, জাতীয় পার্টিকে ভয় পেয়ে তারেক রহমানের সিকিউরিটি বা বেগম জিয়া সিকিউরিটির জন্য আয়োজন নেওয়া হচ্ছে? অবশ্যই নয়। বিএনপি ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগকে। সেই আওয়ামী লীগকে এক বছর পরে তো ভয় পাওয়ার কথা না।
গত এক বছরে তাদের ভয় আরো কেটে যাওয়ার কথা এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ার কথা এবং যারা এই মুহূর্তে ক্ষমতায় আছেন, তারা আওয়ামী লীগের যে নাম-নিশানা-গন্ধ এগুলো একেবারে তাদের ডিকশনারি থেকে মুছে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা কেন উল্টো হয়ে যাচ্ছে? আর যখন প্রকৃতিতে এই ঘটনা ঘটে, আপনি যে বিষয় নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত থাকবেন, মনের মধ্যে কুট করে যার কথা আপনার মনে হবে ও আপনাকে একদিন না একদিন আপনাকে ভোগাবে এবং এটাই নিয়তি।