ভোলায় আ.লীগের কার্যালয়ে ঝুলছে এনসিপির সাইনবোর্ড

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে স্থানীয় এনসিপি প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সালের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিতে প্রবেশ করে তাদের দলীয় কার্যক্রম শুরু করেন। ভবনের বাইরে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি, চরফ্যাশন উপজেলা কার্যালয়’ লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা। এছাড়া ভবনের ছাদে একটি মাইক লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তাদের বিচারের দাবিতে প্রচারণাও চালান এনসিপি নেতারা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, চরফ্যাশন উপজেলা শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত তিনতলা বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের এ দলীয় কার্যালয়টি প্রয়াত এক আওয়ামী লীগ নেতার দানকৃত জমির ওপর আনুমানিক ২ হাজার সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। পরে কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এরপর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল কার্যালয়টি।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী মাহমুদুল হাসান সাকিব বলেন, ভবনটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, নিজস্ব জমির ওপর নির্মিত হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আমাদের কার্যালয়ে তাদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সাল জানান, এখন থেকে চরফ্যাশন উপজেলা এনসিপির দলীয় কার্যক্রম এখান থেকে পরিচালিত হবে। ভবনটি সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ করে হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি গণমাধ্যমকে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। কার্যালয়টি খাস জমিতে নির্মিত কিনা কাগজপত্র দেখে জানতে পারব। আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।