বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইমরানুল আজিম চৌধুরী

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৩ মে ২০২৪

টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে

টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

 

সম্প্রতি ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন নেত্রকোণার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদার সৈয়দ মিজানুর রহমান।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গভীর নলকূপের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে জহিরুল ইসলাম ঠিকাদার মিজানুর রহমানের কাছে থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে কয়েক ধাপে সাড়ে সাত লাখ হাতিয়ে নেন। পরে টেন্ডারের কাজ না পেয়ে টাকা চাইতে গেলে ঠিকাদারকে নানান ভয়ভীতি ও হুমকি দেন অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে কোনো উপায় না পেয়ে নেত্রকোণা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ঠিকাদার মিজান।

 

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভিলেজ প্রকল্পের চার উপজেলার ৪০ শতাংশ কাজ করেই উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের সহযোগীতায় ওই প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেন স্থানীয় স্টার ভিলেইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 প্রকৌশলী জহির

জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নই। অভিযোগকৃত বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত চলমান। আমার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পেলে যে কোনো সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব। 

 

নেত্রকোণা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, ঘটনাটি আমার যোগদানের আগেই ঘটেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য এরইমধ্যে সার্কেল অফিসে আবেদন করা হয়েছে। 

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল জানান, অভিযোগের বিষয়টি এরইমধ্যে আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 

২০১৯ সালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন জহিরুল ইসলাম। এরপর কয়েক বছরের মধ্যেই নিজের গ্রামের বাড়িতে ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। 

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়