নিবন্ধন স্থগিত থাকলে সেই দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : ইসি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন স্থগিত করেছে। এটা খানিকটা সঠিক আবার খানিকটা সঠিক না। সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করেছে। সরকারের ওই আদেশের বলে আমরা তাদের পলিটিক্যাল পার্টির নিবন্ধন স্থগিত করেছি। আর সঙ্গতভাবেই যাদের নিবন্ধন নেই বা যাদের নিবন্ধন স্থগিত আছে, সেটা যদি উইথড্র না হয়, স্থগিতাদেশ যদি বাতিল না হয়, তাহলে সে দল নির্বাচন করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।
সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের সিস্টেমটা হচ্ছে যারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত, সেসব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। যে দলের নিবন্ধন আপাতত স্থগিত আছে। আর স্থগিত থাকা অবস্থায় যদি নির্বাচন হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া যাবে দলটির অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না। নির্বাচন যখন হবে তখন স্থগিতাদেশ থাকবে কিনা এটা তো আমরা বলতে পারি না। স্থগিত মানে স্থগিত। যে কোনো সময় এটা উইথড্র হতে পারে। উইথড্র হলে তারা আবার আসতে পারবে। এর বাইরে তো আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপরে দায়িত্ব হচ্ছে- সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা সারাবছর এর প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা একটা গাইড লাইন ঘোষণা করেছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৬ সালের জুনে মধ্যে। আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের একটা ঐক্যমতের বিষয় আছে। রাজনৈতিক দল আমাদের প্রধান অংশীজন। তারা এই ব্যাপারে তাদের মন্তব্য প্রকাশ করবে সেভাবে আমাদের কাজ করব।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা ও তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা অংশ নেন।