বৃহস্পতিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ ও বায়ার্স ফোরামের বৈঠক

টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ ও বায়ার্স ফোরামের বৈঠক
সংগৃহীত

বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে টেকসই সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বায়ার্স ফোরামের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ বৈঠকে ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি অংশ নেন।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকটির মূল লক্ষ্য ছিল তৈরি পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অংশীদারিত্বমূলক কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।

এছাড়াও টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে পোশাক ব্র্যান্ডগুলো এবং বিজিএমইএ কোন-কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে পারে, সে বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ’র পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক শাহরাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান, পরিচালক শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ, পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান, পরিচালক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, পরিচালক রুমানা রশীদ, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল, পরিচালক সামিহা আজিম, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন বিজিএমইএ ব্র্যান্ডিং’র চেয়ারম্যান খান মনিরুল আলম (শুভ), বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন বায়ার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মাশেদ রহমান আব্দুল্লাহ এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ওয়ান স্টপ সেল’র চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক, সমন্বিত আচরণ বিধি প্রবর্তন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, শ্রম সংস্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি, জিএসপি প্লাস সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, শ্রম সংস্কার শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্য নয়, বরং একটি টেকসই ও নিরাপদ শিল্প পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য করা হচ্ছে। তিনি ব্র্যান্ডগুলোকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।

ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে লজিস্টিকস উন্নয়ন, এনবিআর ও কাস্টমস বিষয়ক জটিলতা গুলো নিরসন, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম পরিবেশ তৈরি এবং পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে বিজিএমইএ’র অন্যতম এজেন্ডা ছিল পোশাক শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নে পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন পাওয়া, যা কিনা সাপ্লাই চেইনে সব অংশীদারকে উপকৃত করবে।

বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বৃদ্ধি করা এবং আরও উদ্ভাবনী উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশে সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য ব্র্যান্ড প্রতিনিধিগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা বলেছেন, শিল্পে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে। তারা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি) টেকনিক্যাল ডিজাইন সেকশন খোলা এবং কারখানা পর্যায়ে তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনারদের নিয়োগ দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। 

বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং নৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে বেটার প্রাইসিং মডেল, ইফিশিয়েন্সি মডেল প্রণয়নসহ শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য পোশাক ব্র্যান্ডগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে তাদের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত বিষয়: