কুরআন অবমাননাকারীর বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ 'কোরআন শরীফ' অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় এর কেন্দ্রীয় মসজিদ সামনে থেকে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে ''জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো; কুরআনের অপমান, সইবেনা রে মুসলমান; অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন"—ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে ওই শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী বাইতুল বলেন, "বাংলাদেশের বিদ্যমান কোনো আইনই এখন পর্যন্ত অপূর্ব পালের উপর প্রয়োগ করা হয়নি। পুলিশ তাকে এরেস্ট করে সেইফ এক্সিট দিয়েছে। লোক দেখানো শাস্তি নিশ্চিত করলেই হবে না।
ইতিহাসের এই ঘৃন্যতম কাজের জন্য অপূর্ব পালের অতিদ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ইউনিভার্সিটির প্রশাসন তাকে আজীবনের জন্য বহিঃষ্কার করতে হবে।অন্তবর্তী সরকার কে এ বিষয় কোন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ক্ষোপ প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিক ও মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান
তিনি আরও বলেন, "হুশিয়ার করে দিতে চাই সুশীলদের প্রতিও। বঙ্গদেশের সুশীলরা অপূর্ব পালকে সেইফ করার জন্য তার পক্ষ নিয়ে মানসিক রোগী সহ বিভিন্ন ধরনের ন্যারেটিভ দাঁড় করাচ্ছেন। এই বঙ্গেদেশের সুশীলরা ইসলামের শত্রু, দেশের শত্রু। বিভিন্ন ন্যারেটিভের মাধ্যমে যারা অপূর্ব পালকে সমর্থন করছেন, সেই সুশীলদের বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান দৃঢ়। তার সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত জবিয়ানরা জেগে থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম সহ ও অন্যন্য সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গতকাল (৪ অক্টোবর) অপূর্ব পাল দুপুরে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে 'কোরআন শরীফ' অবমাননার কিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়। এরপরই তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার শাস্তি দাবি করতে থাকেন বিভিন্ন মানুষ। একপর্যায়ে রাতে একদল ছাত্র-জনতা ওই শিক্ষার্থীর বাসার নিচে গিয়ে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশ রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর আজ (৫ অক্টোবর) সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।