মানবিক করিডর নিয়ে প্রশ্ন করতে মানা পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর স্থাপন সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “এ নিয়ে আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।”
এদিন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, “যেহেতু নিরাপত্তা, সেহেতু সীমান্ত ও সীমান্তের বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার ৪১ জন এমপি ও সিনেটরের ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চিঠির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরলেও সেটি তার নজরে আসেনি।
সীমান্ত পরিস্থিতি ও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ
রোহিঙ্গা ও ভারতীয়দের ‘পুশ ইন’ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দিল্লির সঙ্গে নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম না ঘটানোর বিষয়ে বাংলাদেশ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। “বাংলাদেশ ‘পুশ ব্যাক’ করে না। তবে যারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণিত হবে, তাদের অবশ্যই ভারতকে ফেরত নিতে হবে,” বলেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, “এভাবে ঠেলে দেওয়া ঠিক না, দিল্লিকে সেটা আমরা বুঝিয়েছি। তারা কিছু তালিকা দিয়েছে, সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই হচ্ছে।”
অসম চুক্তি বাতিল নয়, পর্যালোচনার পথে ঢাকা
ভারতের সঙ্গে আগে হওয়া কোনো অসম চুক্তি বাতিল করা হয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “চুক্তি হলে দুপক্ষের সম্মতিতেই বাতিল করতে হয়। আমরা চাই নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু এগোক।” ভারতের সঙ্গে শতাধিক চুক্তির মধ্যে কয়েকটি পর্যালোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব পদে পরিবর্তন আসন্ন
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তৌহিদ হোসেন। “বিভিন্ন কারণে তিনি নিজে থেকে সরে যেতে চান,” বলেন উপদেষ্টা।
তবে তাঁর পরিবর্তে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলাম দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে রুহুল আলম সিদ্দিকির নাম আলোচনায় রয়েছে।
বিশেষ সহকারী সুফিউর রহমান এখনও দায়িত্বে নেই
সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তিনি যোগ দেবেন বা দেবেন না। এ নিয়ে ভাবনা চলছে।”