গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: ১৫ মামলায় মোট আসামি ১৬ হাজার ১৬২ জন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা সমাবেশ ঘিরে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম বাদী।
বুধবার রাতে সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জেলা কারাগারে হামলা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও ৫ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৫টি মামলা করা হলো। সদর উপজেলা, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। ১৫ মামলায় মোট ১৬ হাজার ১৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ২৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪ হাজার ৯১০ জনকে আসামি করা হয়। ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৩২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি এলাকায় গাছ কেটে সড়কের ওপর ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনমনে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীসহ অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। পরে কারফিউয়ের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০ জুলাই রাত আটটায় কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।