মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৯ জুলাই ২০২৫

মোবাইল সেবায় গ্রাহক অভিযোগ ৭ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ

মোবাইল সেবায় গ্রাহক অভিযোগ ৭ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ
সংগৃহীত

মোবাইল ফোন সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ দিন দিন বাড়ছে। এসব অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরদের সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

 

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

 

সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও মোবাইল টেলিকম অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

 

সভায় জানানো হয়, গ্রাহকরা নিয়মিত মোবাইল সেবা নিয়ে নানা অভিযোগ জানাচ্ছেন—বিশেষ করে কলড্রপ, ডাটা ব্যবহার, অব্যবহৃত ডাটা-কালটাইম বাতিল হওয়া, সেবার মান নিয়ে বিভ্রান্তি, কাস্টমার কেয়ারে প্রতিক্রিয়ার অভাব ইত্যাদি বিষয়ে।

 

অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ জমা দেওয়ার পর অনেক অপারেটর নিয়মিত শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন না বা সময় চেয়ে নেন, ফলে ভোক্তাদের সমস্যার সমাধান বিলম্বিত হয়।

এসব বিবেচনায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মোবাইল অপারেটররা আগামী সাত দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে জমা দেওয়া অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে যেসব অভিযোগ নিজেদের পক্ষ থেকে সমাধান করা সম্ভব, তা নিষ্পত্তি করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। যেসব অভিযোগে মতবিরোধ থাকবে, সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে শুনানির মাধ্যমে। এ জন্য অপারেটরদের একজন নির্দিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে, যিনি নিয়মিত শুনানিতে অংশ নেবেন।

এছাড়া, প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় অভিযোগ গ্রহণযোগ্য কিনা, তা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় একটি চেকলিস্ট তৈরি করে সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, অব্যবহৃত ডাটা বা কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত হলে তার শর্তাবলি স্পষ্টভাবে গ্রাহকদের জানাতে হবে। অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রাহকদের যাতে কলচার্জ না কাটে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হবে।

পুরোনো সিম নতুন করে বিক্রির ক্ষেত্রে সিম প্যাকেটে স্পষ্টভাবে ‘রিইউজড’ এবং ‘পূর্বে ব্যবহৃত’ লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে গ্রাহকরা আগেই বিষয়টি জানেন।

সভায় অংশ নেওয়া সব পক্ষ দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।