বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ২৯ জুলাই ২০২৫

শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি

শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি
সংগৃহীত

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।

 

পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ে একটি প্ল্যাটফরম তৈরি, সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে সুপারিশের বিষয়বস্তু অবহিতকরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো এবং সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন অডিটরিয়ামে ‘শ্রমজগতের রূপান্তর-রূপরেখা বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে সভায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

 

সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারী শ্রমিক ও নারী অধিকারকর্মীদের একটি কনভেনশন আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়া কমিশনের সুপারিশগুলো বুকলেট আকারে একটি ‘গাইড টু অ্যাকশন’ হিসেবে বিবেচনা করে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, কমিশনের কার্যক্রমের জন্য মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করে এবং যারা কমিশনের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে তাদের অবদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাঠপর্যায়ে সমস্যাগুলো এখনো প্রকট রয়ে গেছে—যেমন, সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী নারী কর্মীরা এখনো মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না। আমাদের মধ্যবিত্ত কাঠামোর মধ্যে এখনও বৈষম্য বিরাজমান এবং সমস্যাগুলো যেমন বিভক্ত, তেমনি আমাদের শক্তিও বিভক্ত।

 

তিনি বলেন, সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সব অংশীজনকে একত্র হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কয়েকটি সংগঠন মিলে নারী অধিকার বিষয়ক যে দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছে, তা কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমেই একটি স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সুপারিশগুলোকে মূল দাবিসমূহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই। বরং নারী শ্রমিকদের হাজার বছরের বন্ধন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে কাজ শুরু করতে হবে। কমিশন শুধু দাবিগুলোকে একত্র করেছে—কাজের দায় কিন্তু আমাদের সবার। আমাদের নারীদের বৈষম্য এবং হয়রানির প্রতি যে আবেগ ও দায়বদ্ধতা রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিলসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, সবার অভিমত, দাবি ও কার্যক্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ এবং কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সব অংশীজনকে একত্র করে একটি যৌথ ফোরাম গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং কমিশনের সুপারিশসমূহ ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে আমাদের সবাইকে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিলসের পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ, বিলসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল, শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাকিল আখতার চৌধুরী প্রমুখ।