বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক :

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৯ জুলাই ২০২৫

অনুতপ্ত’: পার্থ শেখের সংযত অভিনয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প

অনুতপ্ত’: পার্থ শেখের সংযত অভিনয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প
সংগৃহীত

বাবা-ছেলের সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপড়েন, আত্মোপলব্ধি আর নীরব ভালোবাসার গল্প নিয়ে নির্মিত আবেগঘন নাটক ‘অনুতপ্ত’ এরই মধ্যে দর্শক হৃদয়ে গভীর দাগ রেখে গেছে। মধ্যবিত্ত জীবনের বাস্তবতা ও সম্পর্কের অনুরণনে গড়া এই নাটক ছুঁয়ে গেছে সব শ্রেণির দর্শককে।

 

রবিবার (২৭ জুলাই) সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তির পর মাত্র দুই দিনেই নাটকটি ২০ লাখ দর্শক দেখতে পেয়েছেন। কমেন্ট সেকশনে পাঁচ হাজারের বেশি দর্শক নাটকটি দেখে তাদের আবেগ ও প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন।

 

নাটকের গল্পে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে রিশাদের সুবিধার জন্য বাবা রফিক মোটরসাইকেল কিনে দেন, দেন সময়-অসময়ে টাকা। সবাই জানে রফিক একজন কর্পোরেট চাকরিজীবী। কিন্তু হঠাৎ করেই রিশাদ জানতে পারে, তার বাবা দিনে সেলসম্যান, আর রাতে আড়তে শ্রমিকের কাজ করেন। এই সত্য জানার পর রিশাদের মধ্যে জন্ম নেয় অপরিমেয় অনুতাপ। সে নিজেও রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত হয়ে বাবার বোঝা কমানোর চেষ্টা করে।

 

এদিকে সে প্রেম করে মালিহা নামে এক তরুণীর সঙ্গে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে তখন, যখন জানতে পারে—মালিহার বাবা রফিকের আড়তের মহাজন। এ তথ্য জানার পর ঘটনা মোড় নেয় এক গভীর আত্মোপলব্ধির দিকে।

 

নাটকে রিশাদ চরিত্রে পার্থ শেখ অনবদ্য অভিনয় করেছেন। সংযত সংলাপ, চোখের ভাষা, আর ভেতরকার দ্বন্দ্বের সূক্ষ্ম প্রকাশে তিনি তুলে ধরেছেন একজন সন্তানের অপরাধবোধ, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের মিশ্র অনুভূতি। অনেক দর্শক মত দিয়েছেন, এই চরিত্রে পার্থ শেখের অভিনয় নাটকটির সবচেয়ে স্মরণীয় দিকগুলোর একটি। প্রতিটি অভিব্যক্তিতে ছিল মুগ্ধতা ছড়ানোর মতো আন্তরিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা।

 

রফিক চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার এক নিবেদিত পিতার চরিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন সহানুভূতির এক মানবিক ছবি। দীপা খন্দকার মায়ের ভূমিকায় তার শান্ত অভিমান আর অস্ফুট ভালোবাসা দিয়ে চরিত্রটিকে করেছেন জীবন্ত। আরও অভিনয় করেছেন মালাইকা চৌধুরী, শিবা শানু, তানজিম অনিক প্রমুখ।

 

‘দেনা-পাওনা’ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করে পরিচিত নির্মাতা কেএম সোহাগ রানা ‘অনুতপ্ত’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন। তার নির্মাণে ফুটে উঠেছে পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা, আত্মগ্লানি ও মমতার স্নিগ্ধতা। নাটকটির প্রতিটি দৃশ্যে রয়েছে বাস্তব জীবনের ছাপ—সংলাপ সংযত, আবেগপ্রবণ, আর মুহূর্তগুলো গভীর তাৎপর্যময়।

 

‘অনুতপ্ত’ কেবল একটি নাটক নয়—এটি একটি আত্মবিশ্লেষণের আয়না, যা মনে করিয়ে দেয়: অনুতাপ প্রকাশ, ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা চাওয়াও ভালোবাসার অন্যতম রূপ।

সম্পর্কিত বিষয়: