বাংলাদেশে দুর্নীতি কমছে, তবে পুরোপুরি বন্ধ নয়: টিআই চেয়ারম্যান

বাংলাদেশে দুর্নীতি এখনো বিদ্যমান থাকলেও জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর তা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং সেসব বিষয় বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। পাশাপাশি, বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টিআই এবং টিআইবি যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি একটি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। মব ভায়োলেন্স গণতান্ত্রিক পরিবেশে বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করে, যা নাগরিক অধিকার এবং জবাবদিহিতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”
টিআই চেয়ারপারসন বলেন, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ওপর হামলা, হুমকি ও হয়রানি বাড়তে থাকলে দেশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাংকিং খাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হয়েছে, যার ফলে অর্থ পাচার প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। তবে তিনি সতর্ক করেন, “অর্থ পাচার এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।”