বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ৭ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সীমান্তে সতর্কতা!

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সীমান্তে সতর্কতা!
সংগৃহীত

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান এনসিপির গতকাল দিবাগত রাতে ভারত কর্তৃক পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এক গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এক বিবৃতিতে দলটি জানিয়েছে, এই হামলা দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে।

এনসিপি বিবৃতিতে বিবাদমান উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তর্জাতিক নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে চলা জরুরি।"

এদিকে দলটি ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থানরত পলাতক ‘ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী’ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাংলাদেশে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে। এনসিপির দাবি, এ গোষ্ঠী বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও নাশকতা চালানোর মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করছে।

এ প্রসঙ্গে এনসিপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির। তারা আরও বলেছে, “সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের বাহিনীকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।”

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছে এনসিপি। দলটি জানিয়েছে, "জাতীয় নাগরিক পার্টি এই ঐক্য গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।"

বিবৃতির শেষাংশে দলটি বলেছে, “জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারবে।”