সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৩ জুলাই ২০২৫

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!
সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা দলটির নেতারা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য ও কর্মসূচির মাধ্যমে জনসমর্থন আদায়ে সচেষ্ট। তবে, চাঁদাবাজিবিরোধী এই আওয়াজের মাঝেই এবার দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেই ওঠেছে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ।

 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করছেন। ভিডিওটি ২০২৫ সালের ১৪ মে ধারণ করা হয় বলে জানা গেছে।

 

ভিডিওতে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, "এখানে সাত লাখ টাকা ভাইয়া, ১০ লাখ থাকার কথা ছিল। একটু ক্রাইসিস বুঝেন না!" জবাবে এনসিপি নেতা ইমন বলেন, "ভাইকে বলছেন?" তখন নারীটি নিশ্চিত করে বলেন, "হ্যাঁ বলেছি।" তবে, ভিডিওতে উল্লিখিত ‘ভাই’-এর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী দাবি করেছেন, তাকে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়-সময় প্রায় ৪৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো কাজ বা প্রজেক্ট তাকে দেওয়া হয়নি।

 

এনসিপি নেতার টাকা গ্রহণের বিষয়টি চাঁদাবাজি হিসেবে আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান। ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তৈরি হয় তীব্র সমালোচনা।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির একাধিক নেতার বিরুদ্ধেই রয়েছে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ। বিশেষ করে, দলটির নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।