পানগাঁও আইসিটি এককভাবে পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর

পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) এককভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বন্দরের ‘পশ্চাদ সুবিধাসহ হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকার বিআইডব্লিউটিএর সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌবাহিনীর পক্ষে রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) আনোয়ার হোসেন এবং বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশীদ।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিআইডব্লিউটিএর সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে পানগাঁও আইসিটি ও তৎসংলগ্ন প্রায় ৪৮ একর জায়গা লিজ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০৩৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। প্রতি ১০ বছর মেয়াদ শেষে নবায়নের শর্তে চুক্তির মোট মেয়াদ হবে ৩০ বছর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ পণ্য সড়কপথে পরিবহন হয়। এতে সড়কে চাপ বাড়ছে, পরিবহন খরচও বেশি হচ্ছে। পানগাঁও আইসিটি ব্যবস্থাপনায় বন্দরের একক দায়িত্ব নেওয়ার ফলে নদীপথে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন বাড়বে। সেখানে একটি ফ্রি কটন জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে বন্দরের ‘হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। লালদিয়া-২ অঞ্চলে নির্মিতব্য এই জেটির দৈর্ঘ্য হবে ২৪০ মিটার।
বন্দর সচিব বলেন, এত দিন বন্দরে ভারী কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য কোনো বিশেষায়িত জেটি ছিল না। এনসিটি বার্থ নং-৫ এ কার্যক্রম চালানো হলেও সেটি মূলত কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নির্মিত। নতুন হেভি লিফট কার্গো জেটিটি প্রতি বর্গমিটারে ৫ টন ভার বহনে সক্ষম হবে। বর্তমানে ব্যবহৃত বার্থটির সক্ষমতা মাত্র ৩ টন।
তিনি আরও বলেন, শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভারী কার্গোর আমদানি বাড়ছে। দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীদের সুবিধা নিশ্চিত করতেই এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে প্রকল্পটি নৌবাহিনী বাস্তবায়ন করবে।