অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১ ও শিশুসহ আহত ৫

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে জয়পুরহাট-বদলগাছী সড়কের সদর উপজেলার খঞ্জনপুর মিশন চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

নিহত ব্যক্তির নাম ইদ্রিস আলী (৪০)। তিনি একজন অটোরিকশাচালক ও জয়পুরহাট জেলা শহরের আদর্শপাড়া মহল্লার একরাম আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা (৫০), জলিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন (৫০), শামীম হোসেনের স্ত্রী মিনু খাতুন (৪০), একই গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী নাজনীন আক্তার (২০) ও নাজনীনের দুই বছরের মেয়ে নিহা আক্তার। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে কিছু আগে জয়পুরহাট শহর থেকে অটোরিকশাচালক ইদ্রিস আলী ৫ যাত্রী নিয়ে ভাদসার দূর্গাদহ বাজারে যাচ্ছিলেন। অটোটি খঞ্জনপুর মিশন চক্ষু হাসপাতালের সামনে এলাকা পার হচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ম্যাসি ট্রাক্টরের ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এরপর ট্রাকটি ওই অটোকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই অটো চালক ইদ্রিস আলী নিহত হন। অটোতে থাকা ৫ জন যাত্রী আহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মাসুদ রানা ও মিনু খাতুনকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, ট্রাকটি ম্যাসি ট্রাক্টরকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোতে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। তাৎক্ষণিক আহতদের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে বগুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর গাড়িগুলো উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ট্রাক্টরের চালক ও ট্রাকের চালক-সহকারীকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।