বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১২:২২, ২ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪৫, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ

কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪৫, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ
সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদের মধ্যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার সকালে কামাল পাশা পক্ষের লোকজন ফরহাদ আহমেদের বাড়ি বাঘাবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে বাঘাবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

কিশোরগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, আমি গত দুই দিন ধরে কিশোরগঞ্জে অবস্থান করছি। আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে স্থান পাওয়ায় কামাল পাশা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি পরিকল্পিতভাবে শতাধিক লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি আমাদের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।

 

বিএনপি নেতা কামাল পাশা বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার একটি খেলার মাঠ পরিদর্শনের উদ্দেশে বাঘাবাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আমার সমর্থকরা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আমাদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ