মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ! খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী ও নওমালা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি না নিয়েই তিনি মাঠে ধানের চারা রোপণ করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে মাঠে নিজ উদ্যোগে ধান বপন করেন জাকির হোসেন। এর ফলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা।
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, “ধান পরিপক্ব হতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। এই সময়টায় মাদ্রাসা ও এলাকার কোনো শিশু খেলাধুলা করতে পারবে না। এই মাঠই ছিল একমাত্র খোলা জায়গা।”
স্থানীয়রা বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ‘বিধিবহির্ভূত’ ও ‘শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের পরিপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা দ্রুত মাঠ থেকে ধানগাছ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা জাকির হোসেন বলেন, “বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সেখানে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে ধানগাছ সরিয়ে ফেলা হবে।”
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউসুফ সেন্টু জানান, “বিষয়টি জানার পর জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার ও ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুনবী বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে চাষাবাদ বিধিসম্মত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “খেলাধুলা শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ। শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মাঠগুলো উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে।”