শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৮ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে

পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৭৫ জন

পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৭৫ জন
সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে।  

 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আহম্মদ আলী বাদী হয়ে  সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে বাকি আসামিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

 

এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, সকালে সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছে। সেখানে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

গোপালগঞ্জে বুধবারের সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করলেও তাতে কাজ না হওয়ায় বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ দেয় সরকার। যা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হয়। 

 

১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গেল মঙ্গলবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনসিপি। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে ওইদিন রাত থেকেই জেলাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপরও বুধবার সমাবেশের আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায়। 

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে পৌঁছানোর আগেই সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশ শেষে হামলার মুখে পড়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরও।

 

যা পরবর্তীতে রূপ নেয় সহিংস সংঘাতে। কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় গোপালগঞ্জ ছেড়ে খুলনার দিকে রওয়ানা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটে হতাহতের ঘটনা।  

সম্পর্কিত বিষয়: