শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২ আগস্ট ২০২৫

বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশি পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৬.৫% শুল্ক কার্যকর

বাংলাদেশি পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৬.৫% শুল্ক কার্যকর
সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে গড়ে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। এর মধ্যে নতুন করে আরোপিত ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এবং আগে থেকেই থাকা সাড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

 

মাহমুদ হাসান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পোশাক পণ্যের ওপর যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল, তা কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তবে শর্ত যুক্ত হয়েছে—যদি কোনো রফতানি পোশাকে অন্তত ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল, যেমন আমেরিকান তুলা ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেই পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপিত হবে না।

 

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পোশাকের প্রায় ৭৫ শতাংশই তুলার তৈরি। তবে এসব পোশাকে ব্যবহৃত তুলার বড় অংশই আমদানিকৃত হলেও তা অনেক সময় মার্কিন উৎস থেকে আসে না। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক অব্যাহতির সুযোগ গ্রহণে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক হ্রাস নিঃসন্দেহে স্বস্তির, তবে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ সামনে আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার বাড়িয়ে শুল্ক অব্যাহতির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

 

মাহমুদ হাসান খান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, গত চার মাস ধরে অতিরিক্ত শুল্ক বড় দুশ্চিন্তার কারণ ছিল। এবার যুক্তরাষ্ট্র একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি।

 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগীদের মধ্যে চীনের ওপর ৩০ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর আছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন মোটামুটি প্রতিযোগিতামূলক।

বিজিএমইএ সভাপতি রফতানিকারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। মার্কিন কাঁচামাল সংযোজনের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে হবে, যেন অতিরিক্ত শুল্ক পরিহার করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যায়।

 

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩১ জুলাইয়ের নির্বাহী আদেশে উল্লেখ আছে—যদি অন্তত ২০ শতাংশ আমেরিকান কাঁচামাল, বিশেষ করে তুলা, ব্যবহার করা হয়, তাহলে অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক পুরোপুরি প্রযোজ্য হবে না।

 

বিজিএমইএ নেতারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির সুযোগ কাজে লাগাতে পোশাক কারখানাগুলোকে দ্রুত কাঁচামালের উৎসবিন্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ