শনিবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২

ইনজামামুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি বারবার: ভাঙ্গুরা ইউএনও নাজমুন নাহার

আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি বারবার: ভাঙ্গুরা ইউএনও নাজমুন নাহার
সংগৃহীত

পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছ: নাজমুন নাহার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন। নানা সময়ে তিনি আলোচিত হয়েছেন গণমাধ্যমে। কখনো প্রশংসিত, আবার কখনো সমালোচিত। এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সংবাদ পরিক্রমা-এর সাথে।

সংবাদ পরিক্রমা: কেমন আছেন আপনি? প্রায়ই আপনাকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবরে আসতে দেখি। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?

মোছা: নাজমুন নাহার: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার দায়িত্বকে পবিত্র আমানত মনে করি। আমি ভালো না মন্দ—তা আসলে সাধারণ মানুষই বলতে পারবেন। তবে আমার কাজের জায়গায় কখনো অবহেলা করিনি।

সংবাদ পরিক্রমা: অভিযোগ আছে, ৫৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই অর্থ উত্তোলন করেছেন?

মোছা: নাজমুন নাহার: টি আর, কাবিটা, কাবিখা প্রকল্পে নীতিমালা  অনুযায়ী প্রকল্প শুরুর আগেই অর্ধেক অর্থ ছাড় করা হয়। যখন সংবাদ প্রকাশ হয়, তখনও অধিকাংশ প্রকল্পে ৪০-৪৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন ছিল এবং প্রকল্প সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট সময় অবশিষ্ট ছিলো। বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। আমি নিজে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে সচিব স্যারের একান্ত সচিব  ও ডিসি স্যারকে তদন্তের অনুরোধ করেছিলাম। প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হওয়ায় ডিসি স্যার  আমাকে ধন্যবাদও জানান। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকেও মনিটরিং টিম এসে কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ পরিক্রমা: রাজনৈতিক সভায় নাকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন?

মোছ: নাজমুন নাহার: এটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোনো সভাতেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথা বলিনি। মাসিক সভায় আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আমি তা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম মাত্র। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটির  প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ পরিক্রমা: ধর্ষণ মামলার এক আসামির হাতে আপনি ফুটবল তুলে দিয়েছেন—এমন অভিযোগও উঠেছে।

মোছ: নাজমুন নাহার: উপজেলা ছাত্রদলের অনুরোধে আমি বিভিন্ন ক্লাবকে ফুটবল দিয়েছি। একদিনেই ১৩টি ক্লাবের ৬০ জনকে ২টি করে ফুটবল দেয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত ছিল, যা আমি জানতাম না। পরে বিষয়টি জানতে পারি। এটি কোনোভাবেই ইচ্ছাকৃত ছিল না। আমি মনে করি, আমাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার করা হচ্ছে।

সংবাদ পরিক্রমা: আপনার বিরুদ্ধে ‘১০ ভাগ কমিশন বাণিজ্য’ করার অভিযোগ আছে।

মোছা: নাজমুন নাহার: যে কেউ অভিযোগ তুলতে পারে, কিন্তু অভিযোগ মানেই সত্য নয়। আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে। তারা মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে। অথচ সত্য হচ্ছে—আমি দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি, যেটি পরিশোধ করতেই এখন হিমশিম খাচ্ছি।

সংবাদ পরিক্রমা: ধন্যবাদ, আপনার আগামীর জন্য শুভকামনা।

মোছা : নাজমুন নাহার: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পরুন: