আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নবম দিনের মতো আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের অভিযোগ, মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণের সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বিবর্জিত এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি অবিচার।
তারা তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে পুনর্ব্যক্ত করেন— মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা,
চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা,
কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে নতুন আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা ন্যূনতম দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি শুরু করেন। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফিরে এসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
সন্ধ্যায় সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।