সোমবার ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ভোটের মাঠে ৮ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব

ভোটের মাঠে ৮ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো।

সোমবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “এবার ভোটে পাঁচ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার পরিকল্পনা ছিল। তবে বৈঠকে আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান, কোনো বাহিনীই উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক কিছুই নির্ভর করবে নির্বাচনের বাজেট বরাদ্দের ওপর। বাজেট চূড়ান্ত হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে এবং পুলিশের জন্য বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকবে।

সচিব বলেন, “সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সবচেয়ে বেশি সদস্য থাকবে আনসার বাহিনীর—প্রায় পাঁচ লাখ বা তার কিছু বেশি।”

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনীকে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর অধীনে নাকি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী, তবে যাতায়াতের জন্য আরও পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ১০ দিন দায়িত্ব পালন করেছিল।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: