শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম বদল হচ্ছে : আসিফ
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে এটির পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রবিবার (১১ আগষ্ট) সচিবালয়ে প্রথমবারের মতো অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান তিনি।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণ শেষে আজ রবিবার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস শুরু করেন আসিফ। এসময় তাকে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা। নিজের রুমে উর্ধ্বতন সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নতুন এই ক্রীড়া উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ জানান, ‘প্রথম দিনে আমরা তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার প্রথমটি হলো—যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালেয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি—বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।’
‘এরইমধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবো। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাঞ্জা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।’
আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব। আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।